সুদ দেয়ার গুনাহ থেকে পরিত্রাণের উপায়

জিজ্ঞাসা–১১৩৭: আসসালামু আলাইকুম। জনাব, আমি পারিবারিক আর্থিক সমস্যার কারণে আমার প্রভিডেন্ট ফান্ড থেকে লোন নেই। অফিস ওই লোনের টাকাটা সুদসহ কিস্তিতে কেটে নেয়। সুদ দেয়া বা নেয়া হারাম। এখন আমি যদি প্রদেয় সুদের সমপরিমাণ টাকা কাফফারা দিতে চাই তবে কিভাবে কোন খাতে দিব? যদিও আমি জানিনা এটাতে আমি যে পরিমাণ টাকা সুদ দিয়েছি তার জন্য যে গুনাহ হয়েছে তাতে কোন মাফ পাব কিনা?–আকতার ইমাম।

জবাব: وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته

প্রিয় প্রশ্নকারী ভাই, কাফফারা নয়; বরং আপনার জন্য অপরিহার্য হল, অত্যন্ত লজ্জিত হয়ে এবং ভবিষ্যতে এহেনতর জঘন্য গুনাহ আর করবেন না মর্মে আল্লাহ তাআলার কাছে তাওবা করা। এরপর এখনও যদি উক্ত সুদী লেনদেনের কিস্তি অবশিষ্ট থাকে তাহলে আপনার জন্য ওয়াজিব হল, কেবল মূল টাকা দেয়া এবং সুদের অংশ দেয়া থেকে বিরত থাকা। কিন্তু কোনো কারণে যদি আপনি দিতে বাধ্য থাকেন তাহলে অত্যন্ত ঘৃণাভরে তা দেয়া এবং আল্লাহর কাছে তাওবা করা অব্যাহত রাখা।  কেননা, আল্লাহ তাআলা বলেন,

یٰۤاَیُّهَا الَّذِیْنَ اٰمَنُوا اتَّقُوا اللهَ وَ ذَرُوْا مَا بَقِیَ مِنَ الرِّبٰۤوا اِنْ كُنْتُمْ مُّؤْمِنِیْنَ فَاِنْ لَّمْ تَفْعَلُوْا فَاْذَنُوْا بِحَرْبٍ مِّنَ اللهِ وَ رَسُوْلِهٖ وَإِن تُبْتُمْ فَلَكُمْ رُؤُوسُ أَمْوَالِكُمْ لاَ تَظْلِمُونَ وَلاَ تُظْلَمُونَ

হে ঈমানদারগণ! তোমরা আল্লাহকে ভয় করো এবং সুদের যা কিছু অবশিষ্ট আছে তা পরিত্যাগ করো। যদি তোমরা মুমিন হও। যদি তা না কর তবে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের পক্ষ থেকে যুদ্ধের সংবাদ জেনে নাও। কিন্তু যদি তোমরা তাওবা কর, তবে তোমরা নিজের মূলধন পেয়ে যাবে। তোমরা কারও প্রতি অত্যাচার করো না এবং কেউ তোমাদের প্রতি অত্যাচার করবে না। (সূরা বাকারা  ২৭৮-২৭৯)

والله اعلم بالصواب
উত্তর দিয়েছেন
শায়েখ উমায়ের কোব্বাদী

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eleven − ten =