জিজ্ঞাসা–৩৯৬: আচ্ছালামুআলাইকুম। ভাই, ঈদেৱ দিনেৱ চাইতে কি জুম্মাৱ দিন বেশি উত্তম? যদি হয় তাহলে কেন? অনুগ্ৰহ কৱে জবাব পেলে খুশি হব।–Firoz ahmed
জবাব: وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
হ্যাঁ, জুমুআর দিন আল্লাহ্র নিকট কুরবানীর দিন ও ঈদুল ফিতরের দিনের চেয়ে অধিক সম্মানিত। এর দলিল হচ্ছে,
১. আবূ লুবাবা ইবনু আবদুল মুনযির রাযি. থেকে বর্ণিত হাদীসে এসেছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ ﷺ বলেছেন,
إِنَّ يَوْمَ الْجُمُعَةِ سَيِّدُ الأَيَّامِ وَأَعْظَمُهَا عِنْدَ اللَّهِ وَهُوَ أَعْظَمُ عِنْدَ اللَّهِ مِنْ يَوْمِ الأَضْحَى وَيَوْمِ الْفِطْرِ فِيهِ خَمْسُ خِلاَلٍ خَلَقَ اللَّهُ فِيهِ آدَمَ وَأَهْبَطَ اللَّهُ فِيهِ آدَمَ إِلَى الأَرْضِ وَفِيهِ تَوَفَّى اللَّهُ آدَمَ وَفِيهِ سَاعَةٌ لاَ يَسْأَلُ اللَّهَ فِيهَا الْعَبْدُ شَيْئًا إِلاَّ أَعْطَاهُ مَا لَمْ يَسْأَلْ حَرَامًا وَفِيهِ تَقُومُ السَّاعَةُ مَا مِنْ مَلَكٍ مُقَرَّبٍ وَلاَ سَمَاءٍ وَلاَ أَرْضٍ وَلاَ رِيَاحٍ وَلاَ جِبَالٍ وَلاَ بَحْرٍ إِلاَّ وَهُنَّ يُشْفِقْنَ مِنْ يَوْمِ الْجُمُعَةِ
জুমুআর দিন হলো সপ্তাহের দিনসমূহের নেতা এবং তা আল্লাহ্র নিকট অধিক সম্মানিত। এ দিনটি আল্লাহ্র নিকট কুরবানীর দিন ও ঈদুল ফিতরের দিনের চেয়ে অধিক সম্মানিত। (কেননা) এ দিনে রয়েছে পাঁচটি বৈশিষ্ট্য–১. এ দিন আল্লাহ আদম আলাইহিসসালামকে সৃষ্টি করেন। ২. এ দিনই আল্লাহ তাঁকে পৃথিবীতে পাঠান। ৩. এ দিনই আল্লাহ তাঁর মৃত্যু দান করেন। ৪. এ দিনে এমন একটি মুহূর্ত আছে, কোন বান্দা তখন আল্লাহ্র নিকট কিছু প্রার্থনা করলে তিনি তাকে তা দান করেন, যদি না সে হারাম জিনিসের প্রার্থনা করে। ৫. এ দিনই ক্বিয়ামাত সংঘটিত হবে। নৈকট্যপ্রাপ্ত ফেরেশতাগণ, আসমান-যমীন, বায়ু, পাহাড়-পর্বত ও সমুদ্র সবই জুমআর দিন শংকিত হয়। (সুনান ইবনে মাজাহ ১০৮৪)
২. অপর হাদীসে এসেছে, আবূ হুরাইরা রাযি. বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ্ ﷺ বলেছেন,
خَيْرُ يَومٍ طَلَعَتْ عَلَيْهِ الشَّمْسُ يَوْمُ الجُمُعَةِ: فِيهِ خُلِقَ آدَمُ، وَفِيهِ أُدْخِلَ الجَنَّةَ، وَفِيهِ أُخْرِجَ مِنْهَا
যার উপর সূর্য উদিত হয়েছে তার মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ দিন হল জুমআর দিন। (কেননা) এই দিনে আদমকে সৃষ্টি করা হয়েছে, এই দিনে তাঁকে জান্নাতে স্থান দেওয়া হয়েছে এবং এই দিনেই তাঁকে জান্নাত থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। (মুসলিম ৮৫৪)
শায়েখ উমায়ের কোব্বাদী
আরো পড়ুন– ☞সহীহ হাদীসের আলোকে কাবলাল জুমআ’ ও বা’দাল জুমআ’ ☞ খুতবা মাতৃভাষায় দেওয়া যাবে কি?