তাহজ্জুদ সম্পর্কে দু’টি অমূলক ধারণা

জিজ্ঞাসা–১৭৬৭: তাহাজ্জুদ নামায পড়ার সময় কি জীন বা শয়তান মানুষের কোনো ক্ষতি করে? এবং তাহাজ্জুদ নামাযে কোনো ভুল হলে কি মানুষ পাগল হয়ে যায় ?–মোঃ হাসান।

জবাব: প্রশ্নে উল্লেখিত কথাগুলোর কোনো ভিত্তি নেই। মূলত শয়তানের কুটচাল প্রতিটি মানুষের সঙ্গে ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে। অবিশ্বাসীদের ক্ষেত্রে বেলায় এক রকম আবার মুমিন-মুসলমানদের বেলায় আরেক রকম। সাধারণত কোনো মুমিন বান্দার অন্তরে শয়তান কখনও এ প্ররোচনা দেয় না- অমুক পুণ্যের কাজ করো না, এটা খারাপ কাজ। সোজাপথে মুমিন-মুসলমানকে ধোঁকা দেয় না শয়তান। কারণ, শয়তান ভালো করেই জানে, এই লোক ঈমানদার হওয়ার কারণে সে কোনো সওয়াবের কাজকে খারাপ মনে করতে পারে না। তাই শয়তান মুমিনদের ভিন্নভাবে প্ররোচিত করে। আর উক্ত কথাগুলোও শয়তানের প্ররোচনা ছাড়া কিছু নয়।

প্রকাশ থাকে যে, বহু হাদীসে তাহাজ্জুদের ফজিলত বর্ণিত হয়েছে। নিম্নে দু’টি হাদীস পেশ করা হল-

عَنْ عَبدِ اللهِ بنِ سَلاَمٍ رضي الله عنه: أَنَّ النَّبِيَّ ﷺ قَالَ: أَيُّهَا النَّاسُ: أَفْشُوا السَّلاَمَ، وَأَطْعِمُوا الطَّعَامَ، وَصَلُّوا بِاللَّيْلِ وَالنَّاسُ نِيَامٌ، تَدْخُلُوا الجَنَّةَ بِسَلاَمٍ

আব্দুল্লাহ ইবনে সালাম রাযি. হতে বর্ণিত, নবী ﷺ বলেছেন, “হে লোক সকল! তোমরা ব্যাপকভাবে সালাম প্রচার কর, (ক্ষুধার্তকে) অন্ন দাও এবং লোকে যখন রাতে ঘুমিয়ে থাকবে তখন নামায পড়। তাহলে তোমরা নিরাপদে ও নির্বিঘ্নে জান্নাতে প্রবেশ করবে।” (তিরমিযী: ২৪৮৫, ইবনু মাজাহ: ১৩৩৪, ৩২৫১)

 وَعَنْ أَبِي هُرَيرَةَ رضي الله عنه، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ : أَفْضَلُ الصِّيَامِ بَعْدَ رَمَضَانَ: شَهْرُ اللهِ المُحَرَّمُ، وَأَفْضَلُ الصَّلاَةِ بَعْدَ الفَرِيضَةِ: صَلاَةُ اللَّيْلِ

আবূ হুরাইরা রাযি. হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, “রমযান মাসের রোযার পর সর্বোত্তম রোযা হচ্ছে আল্লাহর মাস মুহাররমের রোযা। আর ফরয নামাযের পর সর্বোত্তম নামায হচ্ছে রাতের (তাহাজ্জুদের) নামায।” (মুসলিম: ১১৬৩, তিরমিযী: ৪৩৮, ৭৪০, আবূ দাউদ: ২৪২৯)

والله اعلم بالصواب
উত্তর দিয়েছেন
শায়েখ উমায়ের কোব্বাদী