জিজ্ঞাসা–৪৪৮: আসসালামু আলাইকুম। ভাই,দয়া করে উত্তরটি মেইল করবেন। খুবই পেরেশানীতে আছি। প্রস্রাব করার পর যে জায়গায় প্রস্রাব করা হয়েছে তা ধোয়ার সময় সেখান থেকে পানির ছিঁটা এসে শরীরে বা কাপড়ে লাগলে তা কী নাপাক হবে?–মাহ্দী হাসান
জবাব: وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
পেশাবের ছিটা যেন শরীরে কাপড়ে না লাগে; এ ব্যপারে পুরোপুরি সতর্ক থাকতে হয়। কেননা, মানুষের পেশাব নাজাসাতে গলিযা (কঠোর নাপাক)। তাই যে অঙ্গে বা কাপড়ে উক্ত পানির ছিটা পড়বে, অবশ্যই ঐ অঙ্গ বা কাপড়ের ওই অংশ ধৌত করে নিতে হবে। কারণ, অল্প পানির মধ্যে নাপাক পতিত বা মিশ্রিত হওয়ার দ্বারা পানি নাপাক হয়ে যায়। কিন্তু উক্ত পানির ছিটার দ্বারা পুরো শরীর বা পুরো কাপড় নাপাক হবে না। হাদিস শরিফে এসেছে, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন,
استنزهوا من البول فإن عامة عذاب القبر منه
তোমরা পেশাবের অপবিত্রতার ব্যাপারে সতর্ক থাক। কারণ অধিকাংশ কবরের আযাব এর কারণে হয়ে থাকে (দারাকুতনী ৪৭৬)
শায়েখ উমায়ের কোব্বাদী
পেশাব করার পর ৫ মিনিট/ ১০ মিনিট পানি বের হয় কেন,আইতা নিয়া খুবি সমস্যা আছি এমন কি নামাজ এর ভিতরেও হয় দয়া করে অনেক সমস্যা আছি সমাধান ????
১. পেশাব করার সময় তাড়াহুড়ো করবেন না, বরং পেশাব বন্ধ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করবেন, অতঃপর পানি দ্বারা পেশাবের স্থান ধৌত করবেন। হাদীস শরিফে এসেছে,
عَنْ عِيسَى بْنِ يَزْدَادَ الْيَمَانِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ﷺ إِذَا بَالَ أَحَدُكُمْ فَلْيَنْتُرْ ذَكَرَهُ ثَلَاثَ مَرَّاتٍ
ঈসা ইবন ইয়াযদাদ আলইয়ামানী তার পিতা থেকে বর্ণনা করেন। রাসূল ﷺ ইরশাদ করেছেন, যখন তোমাদের কেউ পেশাব করে, তখন সে যেন তার লজ্জাস্থানকে তিনবার ঝেড়ে নেয় বা পবিত্র করে নেয়। (সুনানে ইবনে মাজাহ: ৩২৬)
২. এরপরও যদি কোন কিছুর আশঙ্কা থাকে, তাহলে লজ্জাস্থানের আশপাশে লুঙ্গি বা পায়জামায় পানি ছিটিয়ে দিবেন। কারণ রাসূল ﷺ থেকে বর্ণিত, بَالَ ثم نَضحَ فَرْجَه তিনি পেশাব করেছেন, তারপর লজ্জাস্থানে পানি ছিটিয়ে দিয়েছেন। (আবু দাউদ: ১৬৭ )
৩. এরপর যতই সন্দেহ হোক সেদিকে মোটেই ভ্রুক্ষেপ করবেন না। আপনি নিশ্চয়তার উপর নির্ভর করবেন। যতক্ষণ পর্যন্ত আপনি পেশাবের ব্যপারে নিশ্চিত হবেন না ততক্ষণ পর্যন্ত কেবল সন্দেহের বশে পেশাব বের হয়েছে বলা যাবে না।