মাতুব্বরের নির্দেশে কুরবানীর গোশত একত্র করে সমাজে বণ্টন করা

 জিজ্ঞাসা–১৮৪৬: একটি মহল্লায় ৫০ টি কুরবানির প্রাণী জবেহ করা হয়। এখন সেই কুরবানির গস্তে গরিবের যে ভাগ রয়েছে তা গ্রামের মাতুব্বরের আদেশে একত্র করে। পরবর্তীতে প্রত্যেকের ঘরে সমানভাবে গোশত বিলি করা হয়। এর শরয়ী হুকুম কী–Riyad Ahnaf 

জবাব: কুরবানীর গোশতের এক তৃতীয়াংশ গরীব-মিসকীনকে এবং এক তৃতীয়াংশ আত্মীয়-স্বজন ও পাড়া-প্রতিবেশীকে দেওয়া ওয়াজিব নয়; বরং মুসতাহাব। কেউ চাইলে পুরো গোশতও নিজে রেখে দিতে পারে। (বাদায়েউস সানায়ে ৪/২২৪, আলমগীরী ৫/৩০০)

এ থেকে বোঝা গেল, কুরবানীর গোশত আদৌ বিতরণ করা হবে কি-না, বিতরণ করা হলে কতটুকু অংশ বিতরণ করা হবে তা সম্পূর্ণ কুরবানীদাতার একান্ত ব্যক্তিগত বিষয়। শরিয়ত তাকে কোনো কিছুতেই বাধ্য করে নি। শরিয়ত যা বাধ্য করে নি; বরং ঐচ্ছিক রেখেছে সমাজ ও সমাজপতিরা তা বাধ্য করার অধিকার কিভাবে পায়? সুতরাং বণ্টনের প্রশ্নোক্ত ধরণ কোনোভাবেই জায়েয নয়।

তবে যদি এমনিতে কুরবানীদাতাগণ যে যে পরিমাণ গোশত সামাজিকভাবে বিতরণ করতে আগ্রহী তা নিজ দায়িত্বে স্বতস্ফুর্তভাবে জমা দেয় আর সেখান থেকে যারা কুরবানী করেছে আর যারা করে নি সকলের বাড়িতে গোশত পাঠানো হয়, তাহলে এতে দোষণীয় কিছু নেই। অর্থাৎ, যা-ই করা হবে এবং যতটুকুই করা হবে, প্রত্যেকে সন্তুষ্টচিত্তে ও স্বতস্ফূর্তভাবে করবে। এক্ষেত্রে কারো ওপর কোনো কিছু চাপিয়ে দেয়া যাবে না। কেউ যদি নিজের অংশ নিজেই প্রতিবেশীর ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে চায় সে সুযোগ যেন থাকে; তাকে এখানে জমা করতে বাধ্য করা যাবে না।

والله أعلم بالصواب