স্বামী জোর করে পায়ুপথে সহবাস করলে স্ত্রীর কী করা উচিত?

জিজ্ঞাসা–১১২৩: স্বামী জোর করে স্ত্রীর পায়ুপথে মিলন করলে স্ত্রীরও কী গুনাহ হবে?–নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক।

জবাব:

এক. সন্দেহ নেই, স্ত্রীর পায়ুপথে সহবাস জঘন্যতর কবিরা গুনাহ। এমনকি রাসূলুল্লাহ বলেছেন,

مَنْ أَتَى امْرَأَتَهُ فِي دُبُرِهَا فَقَدْ بَرِئَ مِمَّا أُنْزِلَ عَلَى مُحَمَّدٍ

যে ব্যক্তি তার স্ত্রীর পশ্চাদদ্বারে সংগম করে; সে যেন আল্লাহ তা’আলা কর্তৃক মুহাম্মদ -এর উপর নাযিলকৃত দীন হতে মুক্ত হয়ে গেল। (আবু দাউদ ৩৯০৪)

বিস্তারিত দেখুন, জিজ্ঞাসা নং–৬৮৫।

দুই. কিন্তু কোনো বিকারগ্রস্থ ব্যক্তি যদি তার স্ত্রীকে উক্ত কাজ করতে জোর-জবরদস্তি করে তাহলে ইসলামের শিক্ষা হল,لا طاعة لمخلوق في معصية الخالق অর্থাৎ, আল্লাহর প্রতি অবাধ্যতা যেখানে আসবে, সেখানে সৃষ্টির আনুগত্য কোনো অবস্থাতেই করা যাবেনা। সুতরাং স্ত্রী কোনোভাবেই স্বামীর এ কাজে সাড়া দিতে পারবে না; বরং তাকে বুঝানোর চেষ্টা করবে। যদি সে না শুনে তাহলে প্রয়োজনে সে এর জন্য স্বামীর নিকট তালাকের দাবীও করতে পারবে। (মাজমুু’উল ফাতাওয়া ৩২/২৬৭)

ইবনু কাইয়িম রহ. বলেন,

 ونصيحتي للزوجات : أن يمتنعن من هذا إطلاقاً ، حتى لو أدى ذلك إلى الخروج من البيت إلى أهلها : فلتفعل ، ولا تبق عند هذا الزوج ، وهي في هذه الحالة ليست بناشز ؛ لأنها فرت من معصية ، ولها النفقة على زوجها ، فلو بقيت عند أهلها شهراً أو شهرين فإنها تطالبه بالنفقة ، لأن الظلم منه هو ؛ لأنه لا يحل له أن يكرهها على هذا الأمر

স্ত্রীদের প্রতি আমার উপদেশ হল, স্বামীকে এ থেকে যথাসাধ্য বাঁধা দিবে। এমনকি এর কারণে যদি নিজের বাবার বাড়িতে চলে যেতে হয় তাহলে তা-ই করবে এবং স্বামীর এজাতীয় অসভ্যতা নিয়ে তার সঙ্গে বসবাস করবে না। আর এমনটি করলে সে অবাধ্য স্ত্রী হবে না। কেননা, সে গুনাহ থেকে পলায়ন করেছে। সে তখন স্বামীর কাছ থেকে ভরণ-পোষণের দাবী করতে পারবে। সুতরাং সে বাবার বাড়িতে এক/দুই মাস যা-ই থাকবে, স্বামীর কাছ থেকে তার ভরণ-পোষণের দাবী করবে। কেননা, জুলুম তো স্বামীর পক্ষ থেকেই হয়েছে। কেননা, স্বামী স্ত্রীকে এই কাজে বাধ্য করা হালাল নয়। (আললিকা আশশাহরী ১৪/৫৯)

والله اعلم بالصواب
উত্তর দিয়েছেন
শায়েখ উমায়ের কোব্বাদী

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

fourteen − one =