জিজ্ঞাসা–৮৯৩: আসসালামু আলাইকুম। বোবা মানুষের নামাজের হুকুম কি?–আব্দুল্লাহ ।
জবাব: وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
বোবা মানুষেরও নামাজ পড়তে হবে। তবে কিভাবে পড়বে– এ ব্যাপারে আরব বিশ্বের সর্বোচ্চ ফতোয়া কমিটিকে জিজ্ঞাসা করা হলে তাঁরা উত্তরে লিখেছেন,
يصلي على قدر استطاعته لقوله تعالى: ( لَا يُكَلِّفُ اللَّهُ نَفْسًا إِلَّا وُسْعَهَا) ، وقوله: (مَا يُرِيدُ اللَّهُ لِيَجْعَلَ عَلَيْكُمْ مِنْ حَرَجٍ) ، وقوله تعالى: (يُرِيدُ اللَّهُ بِكُمُ الْيُسْرَ) ، وقوله تعالى: ( فَاتَّقُوا اللَّهَ مَا اسْتَطَعْتُمْ)
এমন ব্যক্তি নিজ সাধ্যানুপাতে নামাজ আদায় করবে। কেননা, আল্লাহ তাআলা বলেন, আল্লাহ কাউকে তার সাধ্যাতীত কোন কাজের ভার দেন না। অন্যত্র তিনি বলেন, আল্লাহ তোমাদেরকে অসুবিধায় ফেলতে চান না। তিনি আরো বলেন, আল্লাহ তোমাদের জন্য সহজ করতে চান। তিনি আরো বলেছেন, অতএব তোমরা যথাসাধ্য আল্লাহকে ভয় কর। (ফাতাওয়া লাজনাতিদ্দায়িমা ৬/৪০৩)
এমন ব্যক্তি তেলাওয়াত ও তাসবিহ আদায়ের সময়ে ঠোঁট নাড়াবে কিনা–এ ব্যাপারে আল মাউসুআ’তুল ফিকহিয়া-তে এসেছে,
مَنْ كَانَ عَاجِزًا عَنِ النُّطْقِ لِخَرَسٍ : تَسْقُطُ عَنْهُ الأْقْوَال ، وَهَذَا بِاتِّفَاقِ الْفُقَهَاءِ وَاخْتَلَفُوا فِي وُجُوبِ تَحْرِيكِ لِسَانِهِ بِالتَّكْبِيرِ وَالْقِرَاءَةِ فَعِنْدَ الْمَالِكِيَّةِ وَالْحَنَابِلَةِ وَهُوَ الصَّحِيحُ عِنْدَ الْحَنَفِيَّةِ : لاَ يَجِبُ عَلَى الأْخْرَسِ تَحْرِيكُ لِسَانِهِ ، وَإِنَّمَا يُحْرمُ لِلصَّلاَةِ بِقَلْبِهِ ؛ لأِنَّ تَحْرِيكَ اللِّسَانِ عَبَثٌ ، وَلَمْ يَرِدِ الشَّرْعُ بِهِ
ফকিহগণ একমত যে, যে ব্যক্তি বোবা হওয়ার কারণে কথা বলতে অক্ষম তার থেকে ইবাদতের কথন রহিত হয়ে যাবে। তবে তার জন্য তাকবীর ও কিরাআতে ঠোঁট নাড়ানো ওয়াজিব কিনা–এ বিষয়ে ফকিহগণ মতপার্থক্য করেছেন। মালেকি, হাম্বলি ও হানাফি মাযহাবের বিশুদ্ধ মতানুপাতে, তার জন্য ঠোঁট নাড়ানো ওয়াজিব নয়। বরং এমন ব্যক্তি মনে মনে তাকবীর বলবে। কেননা, ঠোঁট নাড়ানো তার ক্ষেত্রে অহেতুক কাজ। আর শরিয়ত অহেতুক কাজ করার জন্য বলে না। (আল মাউসুআ’তুল ফিকহিয়া ১৯/৯২)
শায়েখ উমায়ের কোব্বাদী