জিজ্ঞাসা–১৩৯০: আমরা কবরে মাটি দেওয়ার সময়, কোরআনের যে আয়াত পাঠ করি, এটা পড়া জায়েজ হবে, নাকি বেদয়াত হবে?–Md.Shahjahan siraj
জবাব: লাশ কবরে রাখার সময় সূরা ত্বহা’র ৫৫ নং আয়াত তেলাওয়াত করা বেদআত নয়; বরং রাসূলুল্লাহ ﷺ তাঁর মেয়ে উম্মে কুলসুম রাযি.-কে কবরে রাখার সময় এটি পড়েছেন।
হাদীসে এসেছে, আবু উমামা রাযি. থেকে বর্ণিত তিনি বলেন,
لَمَّا وُضِعَتْ أُمُّ كُلْثُومٍ ابْنَةُ رَسُولِ اللهِ ﷺ فِي الْقَبْرِ ، قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ : ( مِنْهَا خَلَقْنَاكُمْ وَفِيهَا نُعِيدُكُمْ ، وَمِنْهَا نُخْرِجُكُمْ تَارَةً أُخْرَى )
রাসূলুল্লাহ ﷺ-এর কন্যা উম্মু কুলছূমকে যখন কবরে রাখা হয়, তখন রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছিলেন, ‘মিনহা খালাক্বনা-কুম ওয়া ফীহা নুঈদুকুম ওয়া মিনহা নুখরিজুকুম তারাতান উখরা’। (মুসনাদে আহমাদ ২২১৮৭)
মুহাদ্দিসগণ উক্ত হাদীসকে যয়ীফ বা দুর্বল বলেছেন; তবে যেহেতু জাল বা বানোয়াট বলেন নি, সুতরাং একে বেদআত বলার সুযোগ নেই। বরং কোনো কোনো ফকিহ একে মুস্তাহাব বলেছেন। যেমন ইমাম নববী রহ. বলেন,
استحب بعض الفقهاء بعد الدفن أن يحثى على القبر ثلاث حثيات من تراب ، ويقال في الحثية الأولى :(منها خلقناكم) ، وفى الثانية (وفيها نعيدكم) ، وفى الثالثة (منها نخرجكم تارة أخرى)
কোনো কোনো ফকিহ বলেছেন, দাফনের পরে কবরে তিন মুঠ মাটি দেয়া মুস্তাহাব। প্রথম মুঠ দেয়ার সময় বলবে, مِنْهَا خَلَقْنَاكُمْ দ্বিতীয় মুঠ দেয়ার সময় বলবে, وَفِيهَا نُعِيدُكُمْ আর তৃতীয় মুঠ দেয়ার সময় বলবে, وَمِنْهَا نُخْرِجُكُمْ تَارَةً أُخْرَى (আল মাজমু’ ৫/২৯৩)
শায়েখ উমায়ের কোব্বাদী