মেয়েদের উচ্চশিক্ষা অর্জনের ক্ষেত্রে কোনো বিধিনিষেধ আছে কি?

জিজ্ঞাসা–১০২৪: মেয়েদের উচ্চশিক্ষা অর্জনের ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ কেমন?–SAIMA ISLAM

জবাব: প্রিয় দীনি বোন, কোনো মেয়ে যদি মানবতার জন্য উপকারী এমন কোনো বিষয়ে উচ্চশিক্ষা অর্জন করতে চায় তাহলে তা নিষেধ নয়, তবে তা হতে হবে শরী‘আতের নির্ধারিত সীমা হিজাব তথা শরঈ-পর্দার পরিবেশে। কেননা, ইসলামে শিক্ষা লাভ করার জন্য নারীকে শুধু অনুমতিই দেয়া হয় নি; বরং পুরুষের শিক্ষা-দীক্ষা যেমন প্রয়োজন মনে করা হয়েছে, নারীদের শিক্ষা-দীক্ষাও তদ্রূপ মনে করা হয়েছে। যার কারণে দেখা যায়, রাসূলুল্লাহ ﷺ নারীদের সুশিক্ষিত করে গড়ে তোলার জন্য অভিভাবকদের বিভিন্নভাবে উৎসাহিত করেছেন। শুধু আযাদ মহিলাই নয় ঘরের দাসী বাঁদীদেরও তিনি শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত করেন নি। রাসূলুল্লাহ্ ﷺ বলেন,

وَمَنْ عَالَ ثَلَاثَ بَنَاتٍ أَوْ مِثْلَهُنَّ مِنَ الْأَخَوَاتِ فَأَدَّبَهُنَّ وَرَحِمَهُنَّ حَتَّى يُغْنِيَهُنَّ اللَّهُ أَوْجَبَ اللَّهُ لَهُ الْجَنَّةَ . فَقَالَ رَجُلٌ: يَا رَسُولَ الله واثنتين؟ قَالَ: واثنتين

‘যে ব্যক্তি তিনটি কন্যা সন্তান বা তিনটি বোনকে লালন-পালন করবে এবং তাদেরকে ভদ্রতা, শিষ্টাচার, উত্তম চালচলন ও আচার ব্যবহার শিক্ষা দিয়ে সাবলম্বী হতে সাহায্য করবে, আল্লাহ তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব করে দেবেন। এক ব্যক্তি জিজ্ঞাসা করলো, হে আল্লাহর রাসূল, কেউ যদি দু’জনের জন্য এরূপ করে? তিনি বললেন, দু’জনের জন্য এরূপ করলেও হবে।’ (শারহুস্ সুন্নাহ্ ৩৪৫৭)

সুতরাং বোঝা গেল, মুলতঃ ইসলাম মেয়েদের উপকারী কোনো শিক্ষারই বিরোধিতা করে না; বরং ইসলাম শিক্ষার অসুস্থ-পদ্ধতি সহশিক্ষার বিরোধিতা করে।

অতএব, বর্তমানে প্রচলিত ইসলাম বিরোধী তথা মানবতা বিরোধী সহশিক্ষার বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতঃ মেয়েদের শিক্ষার উপযুক্ত-ব্যবস্থা ব্যাপক করার প্রচেষ্টা চালানো দরকার।

والله اعلم بالصواب
উত্তর দিয়েছেন
শায়েখ উমায়ের কোব্বাদী

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

6 − five =