জিজ্ঞাসা–১৬২৫: হিন্দুদেরকে তো কবর দেওয়া হয় না বরং তাদেরকে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ছাই করে দেওয়া হয়। সুতরাং তাদের জন্য কবরের আজাব কিভাবে হবে?–হোসাইন আহমদ।
জবাব: আসলে কবরের সুখ বা শাস্তির বিষয়টি সম্পূর্ণ অদৃশ্যের বিষয়। জ্ঞান-বিজ্ঞান কিংবা যুক্তি দিয়ে পরিপূর্ণভাবে তা বোধগম্য করা প্রায় অসম্ভব। অদৃশ্যের বিষয়ে ঈমান আনা একজন মুমিনের জন্য আবশ্যক। আল্লাহ তা’আলা বলেন,
ٱلَّذِينَ يُؤْمِنُونَ بِٱلْغَيْبِ
‘মুত্তাকি তারাই যারা অদৃশ্যের বিষয়গুলোতে ঈমান আনে, পরিপূর্ণ বিশ্বাস স্থাপন করে।’ (সূরা বাকারা ০৩)
আর কবরের জীবন মানে মূলত বারযাখী জীবন। অর্থাৎ দুনিয়া এবং আখেরাতের মধ্যবর্তী একটি অন্তর্বর্তীকালীন জীবন। মারা যাওয়ার পর মানুষ কবরস্থ হোক কিংবা না হোক সঙ্গে সঙ্গে সে বারযাখী জীবনে প্রবেশ করে। কেয়ামত সংঘটিত হওয়া পর্যন্ত সে সেখানেই অবস্থান করবে। যেমনটি আল্লাহ তাআলা বলেছেন,
وَمِن وَرَائِهِم بَرْزَخٌ إِلَىٰ يَوْمِ يُبْعَثُونَ
‘মৃত্যুর পর তাদের সামনে রয়েছে বারযাখ কেয়ামত পর্যন্ত তথা পুনরুত্থান দিবস পর্যন্ত।’ (সূরা মুমিনূন ১০০)
সুতরাং পুড়িয়ে দেওয়া হোক পানিতে ডুবিয়ে দেওয়া হোক কিংবা কবরস্থ করা হোক একজন মানুষ সর্বাবস্থায় বারযাখী জীবনে পদার্পণ করতেই হবে। সর্বাবস্থায় তার আত্মা ওই শাস্তিই ভোগ করবে , যা কবরে ভোগ করার কথা ছিল।
والله أعلم بالصواب
উত্তর দিয়েছেন