ইথিক্যাল হ্যাকিং পেশা কি হালাল?

জিজ্ঞাসা–১০৫৬: আসসালামু আলাইকুম, ইথিক্যাল হ্যাকিং পেশা কি হালাল? বিস্তারিত জানতে চাই।–নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক।

জবাব: وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته

ইন্টারনেটসূত্র থেকে জানা যায় যে, ইথিক্যাল হ্যাকিং হল সেই হ্যাকিং যেখানে একজন হ্যাকার এডমিনের অনুমতি নিয়ে সিস্টেম হ্যাক করবে বা সিস্টেমের ভুল ধরিয়ে দিবে। সহজ ভাষায় বলা যায়, এটা এমন হ্যাকিং যেখানে হ্যাকাররা বিভিন্ন সিস্টেমের সিকিউরিটি পরীক্ষা করে। কোনো সিকিউরিটি সিস্টেমের দুর্বলতা বা ত্রুটি খুঁজে বের করে ঐ সিকিউরিটি সিস্টেমের মালিককে বা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে সেই ত্রুটিগুলো সম্পর্কে অবগত করেন যেন তারা ভবিষ্যতে যেকোন সাইবার হামলা থেকে মুক্ত থাকতে পারেন। আর এটা সব দেশে বৈধ। যারা এই কাজটি করে থাকে তাদের ইথিক্যাল হ্যাকার বা সিকিউরিটি এক্সপার্ট বলা হয়ে থাকে।

সুতরাং এর মধ্যে যদি অন্যের ক্ষতি সাধনের বিষয় না থাকে তাহলে এই পেশা গ্রহণ করা শরিয়তের দৃষ্টিতে নিষেধ নয়। হাদীসে এসেছে, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, لا ضرر ولا ضرار ‘ক্ষতি ও ক্ষতি সাধনের কোন অনুমতি নেই।’ (সুনানে দারাকুতনী ৩০৭৯)

والله اعلم بالصواب
উত্তর দিয়েছেন
শায়েখ উমায়ের কোব্বাদী
আরো পড়ুন–
ইউটিউবের মাধ্যমে আয় হালাল হবে কিনা?সফটওয়্যার-পাইরেসি জায়েয আছে কি?
ডেটিং সাইটের মাধ্যমে উপার্জিত অর্থ হালাল কিনা?
গুগল অ্যাডসেন্স থেকে টাকা ইনকাম করা কি জায়েয?
ব্যাংকের আইটিতে চাকরি করা কি হারাম?
ইন্টারনেট কোম্পানীতে চাকুরী করা যাবে কি?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

five × 1 =