গোঁফ স্পর্শ করা পানি পান করা এবং গোঁফ কাটা

জিজ্ঞাসা–১৭৩৭: পানি পান করার সময় যদি পানি গোঁফ স্পর্শ করে তাহলে সেই পানি কি পান করা হারাম হয়ে যায়? আর গোঁফ কাটার নিয়মটা বলে দিলে আমার জন্য উপকার হয়। দলিলসহ দিবেন দয়া করে।–সায়েমুর রহমান।

জবাব:

এক. রাসূলুল্লাহু ﷺ বলেছেন,

خَالِفُوا المُشْرِكِينَ وَفِّرُوا اللِّحَى، وَأَحْفُوا الشَّوَارِبَ

তোমরা মুশরিকদের বিরোধিতা কর, দাঁড়ি লম্বা রাখো এবং গোঁফ ছোট কর।( বুখারী ৫৮৯৩ , মুসলিম ৬০০)

এখান থেকেই হয়তো কেউ কেউ বুঝেছে, গোঁফ যদি খাটো না করা হয় আর পানি পান করতে গিয়ে গোঁফে লাগে তাহলে ঐ পানি নাপাক হয়ে যাবে। এ ধারণা একেবারেই অমূলক। গোঁফ তো নাপাক কিছু নয়। গোঁফ খাটো করার নির্দেশ আর গোঁফে পানি লাগলে তা পান করা হারাম হওয়া বা নাপাক হওয়া সম্পূর্ণ আলাদা বিষয়।

দুই. গোঁফ চেঁছে ফেলা এবং ছোট করে রাখা উভয়ই জায়েজ। উভয় সুরতই সুন্নতে রাসূল বলে প্রমাণিত। তাই একবার চেঁছে একবার ছোট করে উভয় সুন্নতের উপর আমল করা যায়। তবে কোনটি উত্তম এ ব্যাপারে মতবিরোধ আছে। এক্ষেত্রে সঠিক ফায়সালা হলো, যে ব্যক্তির গোঁফ যেভাবে কেটে রাখলে সুন্দর দেখায় সেভাবে কেটে রাখা উত্তম। তবে চল্লিশ দিনের বেশি সময় গোঁফ না কাটা মাকরুহ। যেমন, ইমাম তাবারী রহ. বলেন,

دلت السنة على الأمرين ولا تعارض، فإن القص يدل على أخذ البعض، والإحفاء يدل على أخذ الكل، وكلاهما ثابت فيتخير فيما شاء

সুন্নাহ উভয়টির প্রতি নির্দেশ করে। উভয়ের মাঝে কোনো বিরোধ নেই। কেননা, القص শব্দটি বোঝায়, কিছু অংশ কেটে ফেলতে হবে। আর الإحفاء শব্দটি বোঝায়, পুরাটাই ছেঁচে ফেলতে হবে। আর উভয়টাই প্রমাণিত। সুতরাং যে মত ইচ্ছা গ্রহণ করা যাবে। (তুহফাতুল আহওয়াযী ৮/৪৩)

والله اعلم بالصواب