জিজ্ঞাসা–৫৫৬: আসসালামু ‘আলাইকুম। প্রশ্ন: রেস্টুরেন্টগুলোতে বর্তমানে মুরগীর গোশতের কোনো খাবার খাওয়ার ব্যাপারে একটা সন্দেহ থেকেই যায় যে, ওই খাবারটা মৃত মুরগীর নয়তো!! এমতাবস্থায় সাধারণ মানুষ তো বুঝার উপায় নেই কোনটা মৃত মুরগীর আর কোনটা জীবিত! তাহলে এইসব খানার খাওয়ার ক্ষেত্রে হুকুম কী? এর জন্যে কি আমরা গুণাহগার হবো? হারাম ভক্ষণ এর কারণে?– যীনাত আক্তার।
জবাব: وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
হাদিস শরিফে এসেছে, আয়েশা রাযি. বলেন, একদল লোক নবী রাসুলুল্লাহ ﷺ-কে জিজ্ঞেসা করল, ‘এক নও মুসলিম সম্প্রদায় আমাদের নিকট গোশত নিয়ে আসে। আমরা জানি না যে, তার জবেহকালে আল্লাহর নাম উচ্চারণ করা হয়েছে কি না।’ তিনি বললেন, سَمُّوا عَلَيهِ أَنتُم وَكُلُوهُ ‘তোমরা আল্লাহর নাম নিয়ে তা ভক্ষণ কর।’ (বুখারি ২০৫৭, ৫৫০৭ )
উক্ত হাদিসের ব্যাখ্যায় হাফেজ ইবন হাজার আসকালানী রহ. বলেন,
ويستفاد منه أن كل ما يوجد في أسواق المسلمين محمول على الصحة ، وكذا ما ذبحه أعراب المسلمين… لأن المسلم لا يظن به في كل شيء إلا الخير ، حتى يتبين خلاف ذلك
‘এই হাদিস থেকে বুঝা যায়, মুসলমানদের বাজারে যে গোশত পাওয়া যায় তা হালাল হিসেবে গণ্য হবে। কেননা, মুসলমানের সব বিষয়ে ততক্ষণ পর্যন্ত ভালো ধারণা রাখতে হয় যতক্ষণ পর্যন্ত এর বিপরীত স্পষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায়।’ (ফাতহুল বারী ৯/৭৮৬)
সুতরাং মুসলিম দেশের হোটেল রেস্তোরাঁয় গোশত খাওয়া গোনাহের কাজ বলে বিবেচিত হবে না। এক্ষেত্রে সন্দেহ প্রবণতা পরিহার করা উচিত। মানুষকে, সমাজকে ও পরিবেশকে বিশ্বাস করাই স্বাভাবিকতা। অবশ্য কোনো অনিয়মের প্রমাণ পাওয়া গেলে নিশ্চয়ই এসব থেকে দূরে থাকবেন।
শায়েখ উমায়ের কোব্বাদী
আরো পড়ুন- ☞ হারাম উপার্জনকারীর হাদিয়া গ্রহণ করা যাবে কি? ☞ ☞ অমুসলিমের হাদিয়া গ্রহণ করা যাবে কিনা? ☞ ☞ হোটেল-বয়কে বখশিস দেয়া যাবে কিনা? ☞ হিন্দু বাড়িতে খানা খাওয়া এবং নামাজ আদায় করা যাবে কিনা? ☞ ☞ অমুসলিম দেশে বসবাসকারীরা গরু-মুরগি বিসমিল্লাহ বলে খেতে পারবে কিনা? ☞ হালাল প্রাণীর কোন অঙ্গ খাওয়া নিষেধ? ☞ ড্রেসিং করা মুরগির গোশতের হুকুম কি? ☞ অক্টোপাস স্কুইড (Squid) কাকড়া শামুক ঝিনুক খাওয়া যাবে কি? ☞ কোক পেপসি বিয়ার ইত্যাদি পান করা যাবে কি?