জিজ্ঞাসা–৫১৩: আমার সাথে একজন আলেম ফেসবুকে এড আছেন। তিনি একজন তদবিরকারী। তার দাবী হল, তিনি জিনকে আগুনে জ্বালিয়ে ফেলেন অথবা বোতল-মাটির পাতিল ইত্যাদিতে বন্দি করে নেন এবং এভাবেই তিনি জিনে ধরা রোগীর চিকিৎসা করেন। আমি এর সত্য-মিথ্যা জানি না। কিন্তু আমার প্রশ্ন হল, এ জাতীয় চিকিৎসার অনুমতি শরীয়তে আছে কি-না?–আনিসুল হক।
জবাব: এব্যপারে শাইখুল ইসলাম মুফতি তাকি উসমানী বলেন,
‘যদি জিনের আছর জ্বালিয়ে দেয়া ব্যতিত দূ্র হয়। যেমন, ঝাড়-ফুঁক, হুমকি-ধমকি ইত্যাদি। তাহলে তাকে জ্বালানো কিংবা হত্যা করা জায়েয নেই। কিন্তু যদি সে উক্ত পদ্ধতিতে দূর না হয় তাহলে তাকে বন্দি করা কিংবা জ্বালিয়ে দেওয়া কিংবা হত্যা করা জায়েয। সুতরাং তদবিরকারীর কর্তব্য হলো, প্রথমে কোমল পদ্ধতি চালিয়ে দেখবে। তারপর যদি কাজ না হয় এবং তাকে জ্বালানো কিংবা হত্যা করা ছাড়া কোনো উপায় না থাকে তখনই তা করার পদক্ষেপ নিবে।’ (ফাতাওয়া উসমানী ১/২৬৮)
হাকিমুল উম্মত হযরত আশরাফ আলী থানবী রহ. লিখেছেন,
‘যদি কোনো তদবিরে কাজ না হয় তবে জায়েয। উত্তম হলো, তাবিজে এই কথাটি লিখে দিবে যে, যদি দূর না হও তবে জ্বলে যাবে।’ (ইমদাদুল ফাতাওয়া ৪/৮৮)
আল্লামা বদরুদ্ধীন শিবলী হানাফী রহ. উক্ত মাসআলা সম্পর্কে আলোচনা করতে গিয়ে লিখেছেন,
فحاصل ذلك أنه متى حصل المقصود بالأهون لا يصار إلى ما فوقه ومتى احتيج إلى الضرب وما هو أشد منه صير إليه
‘সারকথা হল, যদি নম্রতার সঙ্গে উদ্দেশ্য হাসিল হয়ে যায় তাহলে এর চেয়ে অতিরিক্তের দিকে যাওয়া যাবে না। আর যদি প্রহার কিংবা এর চেয়ে কঠিন পদক্ষেপের প্রয়োজন হয় তাহলে তা-ই করবে। (আহকামুল জান ১১৪)
আল্লামা শিবলী রহ. আহকামুল জান পৃ.২০, অধ্যায়-৬-এ এ মর্মে সনদসহ একটি বর্ণনা এনেছেন যে, হযরত ইবনু আব্বাস রাযি. একটি জিনকে হত্যা করেছিলেন।
মাওলানা উমায়ের কোব্বাদী
nice