সাক্ষাৎকার ০১

সাক্ষাৎকারটি বাংলাদেশের ইসলাম বেইজড জনপ্রিয় পোর্টাল আওয়ারইসলাম২৪.কম-এ প্রকাশিত হয়েছে।  নিম্নে হুবহু তুলে ধরা হল–

রমজানে শিশু-কিশোরদের মসজিদ ও আমলমুখী করতে কতটা ভাবছেন অভিভাবকরা?

মুমিনের দোরগড়ায় কুরআন নাজিলের মাস রমজান। এ মাসের আগমন আনন্দিত করে সবাইকে। বড়দের পাশাপাশি শিশু-কিশোরদের মাঝেও স্নিগ্ধতার পরশ রেখে যায় রমজানের রহমত, বরকত। বড়দের সঙ্গে তারাবি পড়তে এসে মসজিদের বারান্দায় শিশুদের নৈঃশব্দ কলাহল, খুনসুটি, ছোট হাতের তালুতে গুণে তারারির রাকাত সংখ্যার হিসেব- এ যেন রমজান মাসের চিরাচরিত এক দৃশ্য।

এ মাসকে আমলের মাধ্যমে প্রাণবন্ত করতে এবং  শিশু কিশোরদের মসজিদ ও আমলমুখী করতে অভিভাবকরা এথন থেকেই নিতে পারেন বিভিন্ন উদ্যোগ। এ বিষয়ে আওয়ার ইসলামের সঙ্গে বিস্তারিত কথা বলেছেন রাজধানী ঢাকার মাদরাসা দারুর রাশাদের সিনিয়র মুহাদ্দিস ও বাতুল ফালাহ জামে মসজিদ, মধ্যমনিপুর, মিরপুরের খতিব মাওলানা উমায়ের কোব্বাদী। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন প্রতিবেদক নুরুদ্দীন তাসলিম

রমজান মাস আসছে, শিশুদের মসজিদ ও আমলমুখী করতে কি ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে?

মাওলানা উমায়ের কোব্বাদী: শিশুর সামগ্রিক বিকাশের সঙ্গে পরিবেশ ও পারিপার্শ্বিকতা নিবিড়ভাবে জড়িত। শিশুরা অনুকরণপ্রিয়। তারা পরিবেশ দ্বারা প্রভাবিত হয় বেশি। তাই শিশুদেরকে আমলমুখী করতে হলে প্রথমে পরিবারের বড়দের আমলমুখী হতে হবে। বিশেষ করে ছেলে-শিশু সাধারণত বাবার আর মেয়ে-শিশু সাধারণত মায়ের অনুকরণ করে বেশি। তাই বাবা তার সন্তানকে মসজিদে নিয়ে যাবেন; তবে একেবারে অবুঝ শিশুকে মসজিদে আনা নিষেধ। আর মা মেয়েকে সাথে নিয়ে নামাজ আদায় করবেন। পাশাপাশি খেয়াল রাখতে হবে, বাবা মা শিশুর সামনে এমন কোনো কাজ করবেন না যা তার পরিশীলিত ও আমলমুখী জীবন গঠনের ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি করে।

দ্বিতীয়ত, যদি পরিবারে একাধিক শিশু থাকে তাহলে তাদের মাঝে প্রতিযোগিতা ও পুরস্কারের ব্যবস্থা নেয়া যেতে পারে। এতে আমলের মধ্যে একপ্রকার উৎসবের আমেজ চলে আসবে এবং তারা দারুণভাবে উৎসাহিত হবে।

আপনাদের শৈশবে যেমন রমজান দেখেছেন এবং কাটিয়েছেন বর্তমান শিশুদের রমজান মাসটা কি তেমন অনুভব করছেন অথবা এতে কোন পার্থক্য দেখছেন কিনা?

মাওলানা উমায়ের কোব্বাদী: আমাদের শৈশবে রমজান মানে সবার সঙ্গে সাহরি খাওয়া, ইফতারি করা, মসজিদে দল বেঁধে তারাবিহ পড়া, ঘরে ঘরে কুরআন মজিদ খতমের প্রতিযোগিতা, গরিব–দুঃখীদের ইফতারের পর খাওয়ানো। আমাদের গ্রামে এই খাওয়ানোটাকে বলা হতো, রোজার খানা। বিশেষ করে কুরআন মজিদ খতম সম্পূর্ণ করার যে অনবদ্য প্রতিযোগিতা পরিবারের বড়-ছোট সকলের মাঝে দেখা যেত, তা কী এখন দেখা যায়!

বাস্তবতা হলো, গেমস আর কার্টুন কালচার আমাদের শিশুদের শৈশব কেড়ে নিয়েছে। এ বিষয়টি নিয়ে পরিবারের বড়দের এখনই ভাবতে হবে। শিশুকে এসব থেকে দূরে রাখতে হবে। নবীদের গল্প, সাহাবাদের গল্প এবং পাশাপাশি মাঠের খেলার মজার সাথে তাদের পরিচয় করিয়ে দিতে হবে। অন্যথায় বিপন্ন হবে আমাদের আগামী প্রজন্মের ঈমান-আমল ও কর্মদক্ষতা।

শিশুরা হইচই, কোলাহল পছন্দ করে, এসবের জের ধরে অনেক সময় কোন কোন পাড়া-মহল্লায় শিশুদের মসজিদে নিয়ে না যাওয়ার বিষয়ে কথা উঠতে দেখা যায়, এ বিষয়টি নিয়ে বড়দের সচেতনতা এবং করণীয় বিষয়ে কিছু করার আছে বলে মনে করেন কী ?

মাওলানা উমায়ের কোব্বাদী: আমাদের তরুণ প্রজন্ম এমনিতেই রসাতলে যাচ্ছে দিন দিন। চারদিকের ফেতনার জালে বন্দী হয়ে তারা দূরে সরে যাচ্ছে দ্বীন থেকে। সেখানে ভষিব্যৎ প্রজন্মকে মসজিদে আনা নিষেধ করা উচিত নয়। অথচ অনেক জায়গায় শিশুদের মসজিদে যেতে নিষেধ করা হয়। হাদিসে এসেছে, রাসুল (সা) বলেছেন, ‘আমি নামাজে দাঁড়ানোর পর তা দীর্ঘায়িত করার ইচ্ছা করি। কিন্তু কোনো শিশুর কান্না শোনার পর নামাজ সংক্ষিপ্ত করে ফেলি— এই ভয়ে যে, শিশুটির মা হয়তো কষ্ট পাচ্ছে। (বুখারি, হাদিস : ১/১৪৩)

এ হাদিস থেকে আমরা আমাদের কিছু করণীয় পেয়ে যাই_

__শিশুর ছুটাছুটি, চেঁচামেচি ও কান্নাকাটি ধৈর্যের সঙ্গে সহ্য করে তাদের বুঝাতে হবে যে, মসজিদ আল্লাহর ঘর। এখানে নীরবে সুন্দর ও উত্তম পরিবেশে আল্লাহর ইবাদত-বন্দেগি করতে হয়।

__শিশুকে বাসা থেকেও বুঝাতে হবে মসজিদে এসে যেন, কাউকে বিরক্ত না করে। চিৎকার, কান্নাকাটি বা দুষ্টুমি না করে। এভাবে নিয়মিত বুঝালে একসময় শিশু মসজিদের পরিবেশের সঙ্গে অভ্যস্ত হয়ে যাবে।

__কোনো মুসল্লি বিরক্ত হলে তাকে বুঝাতে হবে যে, শিশুরা মসজিদে দুষ্টুমি করলে, তার সঙ্গে খারাপ আচরণ না করে তাকে বুঝিয়ে দিতে হবে। কেননা, আপনার দাঁত মুখ খিঁচিয়ে-আচরণের কারণে যদি তার অন্তরে মসজিদভীতি ঢুকে যায় তাহলে এর জন্যে আপনিই দায়বদ্ধ হবেন।

__তবে অন্যান্য হাদিস থেকে বোঝা যায়, বয়সে নিতান্ত ছোট হওয়ায় যেসব শিশু মসজিদের মর্যাদা ও নামাজের গুরুত্ব একেবারে বোঝে না, এমনকি মসজিদে আনলে এরা মল-মূত্রও করে দিতে পারে, এধরণের শিশুকে মসজিদে নিয়ে আসা অনুচিত।

মোট কথা, শিশুদের নামাযের প্রশিক্ষণের জন্য মসজিদে নিয়ে আসা উচিত। তবে খেয়াল রাখা উচিত দুষ্টুমি করে যেন অন্যদের নামাযের বিঘ্ন না ঘটায়।

রমজানের প্রস্তুতির বিষয়ে এখন থেকে আমাদের কি করনীয় হতে পারে এ বিষয়ে যদি কিছু বলেন?

মাওলানা উমায়ের কোব্বাদী: প্রথমে বলে রাখি, মাসটি সম্পর্কে আমাদের সাধারণ দৃষ্টিভঙ্গি হল, যেহেতু রহমত ও মাগফিরাতের মাস সুতরাং কোনো না কোনোভাবে মাফ তো পেয়েই যাব! এই দৃষ্টিভঙ্গি ভুল নয় তবে পরিপূর্ণ নয়। কেননা, এই মাসে আল্লাহ অবশ্যই আমাদেরকে মাফ করতে চান। তবে বিনা শর্তে নয়। শর্ত হল, যখন আমরা মাসটিকে কবিরা গুনাহ থেকে মুক্ত রাখব তখনই তিনি আমাদেরকে মাফ করবেন। (মুসলিম ৩৪৯

সুতরাং ভোগের নয়; ত্যাগের প্রস্তুতি নিতে হবে।

সাহাবায়ে কেরাম সম্পর্কে এসেছে, তাঁরা ছয় মাস আগ থেকেই আল্লাহর কাছে মাসটির জন্য দোয়া শুরু করে দিতেন। (লাতায়িফুল মাআরিফ ১৪৮)

আরেকটা কথা, রমজান রহমতের। আবার রমজান কিন্তু গজবেরও। কারণ এই রমজানকে কেন্দ্র করেই জিবরাইল আলাইহিসসালাম বলেছিলেন, ওই ব্যক্তি ধ্বংস হোক, যে রমযান পেয়েও নিজের গুনাহ মাফ করাতে পারল না।

রাসুল (সা) বলেন, তখন আমি বললাম, আমীন। (আলআদাবুল মুফরাদ ৬৪৬)

এজন্য আমাদের আসন্ন রমজান যেন গজব কিংবা লানতের না হয়; বরং যেন রহমত মাগফিরাত ও নাজাতের হয়–এ লক্ষে আমাদেরকে আগেই কিছু প্রস্তুতি নেয়া দরকার।

প্রস্তুতিগুলো হতে পারে—

এক. তাওবা-ইস্তেগফারের অভ্যাস করুন।

এখন থেকেই অধিকহারে তাওবা-ইস্তেগফারের অভ্যাস করুন। তাওবার মূল হল, লজ্জিত হওয়া। এমনকি সহিহ বুখারীর সর্বশ্রেষ্ঠ ব্যাখ্যাগ্রন্থ ফাতহুল বারীতে এসেছে, মাশায়েখগণ এও বলেছেন, লজ্জিত হওয়াটা পাওয়া গেলেই চলবে, তাওবা হয়ে যাবে। হাদিসেও আছে, রাসুল (সা) বলেছেন, লজ্জিত হওয়াটাই তাওবা। (সহিহ ইবন হিব্বান ২/৩৭৯)

সুতরাং অতীত গুনাহের ব্যাপারে এখন থেকে লজ্জিত হোন এবং তাওবা করেছি; এটা বুঝানোর জন্য অধিকহারে ইস্তেফার করুন। তাওবা করার সময় আল্লাহ তাআলার রহমতের আশা রাখুন।

দুই. আনন্দিত হোন।

রমজানের আগমণে আনন্দিত হওয়া; এটাও রমজানের প্রস্তুতিরই একটি অংশ। মুমিনের বৈশিষ্ট্য হল, নেক আমল সামনে আসলে খুশি হয়। আর মুনাফিক ভ্রূ কুচকিয়ে ফেলে, সে নারাজ হয়ে যায়।

রাসুল (সা) বলেন, আল্লাহ তাআলার কসম! মুসলমানদের জন্য রমযানের চেয়ে উত্তম কোনো মাস আসেনি এবং মুনাফিকদের জন্য রমযান মাসের চেয়ে অধিক ক্ষতির মাসও আর আসেনি। কেননা মুমিনগণ এ মাসে (গোটা বছরের জন্য) ইবাদতের শক্তি ও পাথেয় সংগ্রহ করে। আর মুনাফিকরা তাতে মানুষের উদাসীনতা ও দোষত্রুটি অন্বেষণ করে। এ মাস মুমিনের জন্য গনীমত আর মুনাফিকের জন্য ক্ষতির কারণ। (মুসনাদে আহমদ ৮৩৬৮)

কারো যদি আনন্দিত হতে মনে না চায় তাহলে মনের বিপরীতে হলেও আনন্দিত হবেন। বলতে পারেন, সেটা কীভাবে? এভাবে যে, আনন্দিত হতে না পারার জন্য আল্লাহর কাছে তাওবা করবেন, লজ্জিত হবেন তাহলে ‘ইনশা-আল্লাহ’ আপনি আনন্দিত হয়েছেন বলে আল্লাহ গণ্য করে নিবেন।

তিন. পেছনের অনাদায়ী রোজা থেকে মুক্ত হোন।

বিশেষত মা-বোনদের উদ্দেশ্যে বলছি। আমাদের জীবনেও থাকতে পারে। হয়ত বিগত বছরগুলোর কোনো রোজা হয়ত কোনো কারণে ক্বাযা হয়ে গিয়েছিল। যেগুলো এখন পর্যন্ত আদায় করা হয়নি। মা-বোনেরা এজাতীয় রোজাগুলোকে ‘ভাংতি রোজা বলে। এটা তাদের মাঝে প্রচলিত একটি বিশেষ পরিভাষা। যদি এমন কোনো রোজা থেকে যায় তাহলে সেগুলো রমজান আসার আগেই শাবান মাসের মধ্যে আদায় করে দায়মুক্ত হয়ে যান। সাহাবায়ে কেরামের জিন্দেগিতে এজাতীয় রোজা থাকলে তাঁরা শাবান মাসেই পূরণ করে দিতেন।

চার. রমজানের জরুরি ইলম শিখুন।

রমজান আসার আগে রমজানের ফাযায়েল ও মাসাইলের ইলম শিখুন। কেননা আমলের আগে মাসাইলের ইলমের প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য। এমনকি ইলম শেখা ছাড়া তো ঈমানও পরিপূর্ণভাবে শেখা হয় না। কিসের কারণে রোজা ভাঙ্গে কিংবা মাক্রুহ হয়ে যায় ইত্যাদি মাসআলা এখন থেকে শেখা শুরু করে দিন।

পরিবারের সদস্যদের রমজানের প্রতি আগ্রহী করে তুলতে রোজার ফজিলতের হাদিস ও এর বিভিন্ন মাসআলা তুলে ধরে খাবারের টেবিলে বা অন্য কোনো সুযোগে প্রতিদিন কিছু সময় ঘরোয়া তালিম হতে পারে। কোনো সন্তান কোরআন তিলাওয়াত না জানলে অথবা তিলাওয়াত অশুদ্ধ থাকলে তাকে এ সুযোগে শুদ্ধ তিলাওয়াত শেখানোর ব্যবস্থা গ্রহণ মাতা-পিতার দায়িত্ব। এ জন্য রমজানের আগেই শিক্ষক ঠিক করে রাখা উচিত।

অন্তত নামাজ পড়ার জন্য জরুরি পরিমাণ সুরা ও নামাজের মাসায়েল ভালোভাবে শেখানো রমজান আসার আগেই নিশ্চিত করা চাই। পরিবারের প্রত্যেক সদস্যই যেন রমজানে কোরআন তিলাওয়াতের অভ্যাস গড়ে তোলে, সে জন্য পরিবারপ্রধান তাদের উৎসাহিত করবেন। অনৈসলামিক টিভি প্রগ্রামমুক্ত পরিবার গঠনের সিদ্ধান্তও নিতে হবে রমজান থেকে। সন্তানরা যেন ফেসবুক বা টিভিতে অযথা সময় নষ্ট না করে ইবাদতে মনোযোগী হয়, সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে।

পাঁচ. রমজানে হালাল খানার ফিকির করুন।

হাদিসে শরিফে এসেছে, রাসুল (সা) বলেছেন, ব্যক্তি রোযা অবস্থায় মিথ্যাচারিতা ও মন্দ কাজ করা পরিত্যাগ করেনি তার পানাহার পরিত্যাগের কোনোই গুরুত্ব আল্লাহর কাছে নেই। আল্লাহ তাআলা তার পানাহার ত্যাগ করার কোনোই পরোয়া করেন না। (বুখারী ১৯০৩)

আমাদের জীবনের একটি বড় ধরণের মিথ্যাচারিতা ও মন্দ কাজের নাম হল, হারাম খাওয়া। অন্তত রমজানকে এ থেকে পবিত্র রাখি। এমনিতে হারাম তো সর্বাবস্থায় বর্জনীয়। কিন্তু কিছু মানুষ আছে এমন এরা হারামের মধ্যে যেন ‘সুপার গ্লু’র মত আটকে আছে। এদেরকে হারাম বর্জনের নসিহত যতই শোনান না কেন; কানে নিবে না। এদের প্রতি আমাদের মাশায়েখগণের একটা কাকুতিপূর্ণ নসিহত হল, আল্লাহর বান্দা, অন্তত রমজানে সেভ জোনে থাকো। পরিবারকে হারাম থেকে পবিত্র রাখো। রমজানে রহমত কুড়াতে না পারলেও গজব আহবান করো না। এজন্য প্রয়োজনে রমজানে তোমার কত টাকা খরচ হতে, হিসাব করে ওই পরিমাণ টাকা কারো কাছ থেকে ঋণ নাও এবং ওই টাকাগুলো রমজানে পরিবারের জন্য খরচ কর। তবুও গুনাহ ও হারামমুক্ত রমজান কাটাও এবং নবীজি ﷺ ও জিবরাইল আলাইহিসসালামের বদ দোয়া থেকে আত্মরক্ষা কর।

ছয়. আরো কিছু প্রস্তুতি।

রমজান কোরআন নাজিলের মাস। এজন্য এ মাসের অন্যতম আমল হল, কোরআন তেলাওয়াত করা। আমরা অনেকেই ভাবছি, রমজান আসলে খুব তেলাওয়াত করব। আসলে এরকম সাধারণত হয়ে ওঠে না; বরং অভ্যাস থাকতে হয়। এজন্য আজ থেকে কিছু কিছু তেলাওয়াতের অভ্যাস করুন।

যে বদ অভ্যাস হঠাৎ ছেড়ে দেয়া কঠিন হবে বলে মনে করেন, তা দূর করার অনুশীলন এখন থেকেই শুরু করে দিন।

এখন থেকে কিছু জিকিরের, কিছু দোয়া ও কান্নাকাটির প্র্যাকটিস শুরু করে দিন। অন্যথায় পরে কষ্ট হবে।
আল্লাহ তাআলা আমাদের প্রত্যেককে আমল করার তাওফিক দান করুন। আমীন।